বাত ব্যথা

বাত ব্যথা কি
বাত ব্যথা, যা সাধারণত আর্থ্রাইটিস হিসেবে পরিচিত, জয়েন্ট বা স্নায়ুর প্রদাহজনিত অবস্থার জন্য ব্যবহৃত একটি শব্দ। এটি জয়েন্টগুলিতে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, এবং চলাফেরায় সমস্যা সৃষ্টি করে।
বাত ব্যথা কেন হয়
- অস্টিওআর্থ্রাইটিস: বয়সের সাথে সাথে জয়েন্টের কার্টিলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এটি ঘটে, যার ফলে জয়েন্টে ব্যথা ও শক্তি অনুভব হয়।
- রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস: এটি একটি অটোইমিউন ডিজিজ, যেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেম নিজের জয়েন্টগুলোতে আক্রমণ করে।
- গাউট: শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের স্তরের বৃদ্ধি পেলে গাউট ঘটে, যা সাধারণত হঠাৎ করেই জয়েন্টে প্রচণ্ড ব্যথা সৃষ্টি করে।
- লুপাস: এটি আরেকটি অটোইমিউন ডিজিজ, যা জয়েন্ট ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে।
- প্যাসিওয়েটিভ আর্থ্রাইটিস: সংক্রমণ বা প্রদাহের কারণে জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হতে পারে।
বাতের ব্যথার কিছু লক্ষণ
- জয়েন্টের ব্যথা: বাতের প্রধান লক্ষণ হল জয়েন্টে তীব্র বা স্থায়ী ব্যথা। ব্যথা বিশেষ করে চলাচল বা চাপ দিলে আরও বেড়ে যেতে পারে।
- জয়েন্টের ফোলাভাব: আক্রান্ত জয়েন্টগুলো ফুলে যেতে পারে, যা প্রদাহের কারণে ঘটে। ফোলা এলাকাটি ছুঁতে গরম অনুভব হতে পারে।
- আঁটসাঁট ভাব : সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বা দীর্ঘ সময় নড়াচড়া না করলে জয়েন্টে আঁটসাঁট ভাব বা কাঠিন্য অনুভূত হতে পারে।
- জয়েন্টের কার্যক্ষমতা হ্রাস: বাতের ফলে জয়েন্টগুলো স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না। এতে চলাফেরা বা দৈনন্দিন কাজ করতে অসুবিধা হতে পারে।
- জয়েন্টের গঠন পরিবর্তন: দীর্ঘমেয়াদী বাতের কারণে জয়েন্টের আকার বা গঠন পরিবর্তন হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে জয়েন্ট বিকৃতও হয়ে যেতে পারে।
- জ্বর ও ক্লান্তি: কিছু বাত রোগ, যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস , জ্বর ও ক্লান্তির মতো সাধারণ লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
বাতের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে জয়েন্ট আরও অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে । তাই অতি দ্রুত চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহন করা উচিত