বেলস পালসি

বেলস পালসি কি
বেলস পালসি হলো মুখের স্নায়ুর একটি দুর্বলতা বা পক্ষাঘাত যা সাধারণত হঠাৎ করে দেখা দেয় এবং মুখের একপাশের পেশিগুলিকে প্রভাবিত করে। এটি ফেসিয়াল নার্ভের (সপ্তম ক্রেনিয়াল নার্ভ) ক্ষতির কারণে ঘটে, যা মুখের পেশিগুলির নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে।
বেলস পালসি হবার কারণ
বেলস পালসির সঠিক কারণ এখনও পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি ফেসিয়াল নার্ভের (মুখের স্নায়ু) অস্থায়ী প্রদাহ বা ক্ষতির কারণে ঘটে। কিছু কারণ যা বেলস পালসির সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, সেগুলো হলো:
- ইমিউন প্রতিক্রিয়া: শরীরের ইমিউন সিস্টেমের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া স্নায়ুর প্রদাহ তৈরি করতে পারে, যা নার্ভের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।
- গর্ভাবস্থা: বিশেষ করে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকে, মহিলাদের মধ্যে বেলস পালসির ঝুঁকি বেশি থাকে।
- ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বেলস পালসির ঝুঁকি বেশি দেখা যায়।
- আঘাত বা ফেসিয়াল ট্রমা: মুখের স্নায়ুতে সরাসরি আঘাতও বেলস পালসির কারণ হতে পারে।
বেলস পালসি হবার কিছু লক্ষণ
- মুখের একপাশের পেশির দুর্বলতা বা পক্ষাঘাত – যার ফলে হাসি, চোখের পাতা ফেলা বা চোখ পুরোপুরি বন্ধ করা কষ্টকর হয়।
- মুখের পরিবর্তন – মুখের এক পাশের ঝুলে পড়া বা বাকা হওয়া।
- চোখ ও মুখের সমস্যাগুলি – চোখ শুকিয়ে যাওয়া, লালা ঝরা, বা স্বাদ পরিবর্তিত হওয়া।
- শুরুতে হঠাৎ ঘটে – সাধারণত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মুখের একপাশ অকার্যকর হয়ে যায়।
এর সঠিক কারণ জানা যায় না, তবে মনে করা হয় যে এটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে হতে পারে, যেমন হারপিস ভাইরাস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেরে যায়, এবং চিকিৎসার মাধ্যমে (যেমন কর্টিকোস্টেরয়েড থেরাপি বা ফিজিওথেরাপি) পরিস্থিতি উন্নত করা সম্ভব।