সেরিব্রাল পালসি

সেরিব্রাল পালসি কি
সেরিব্রাল পালসি (Cerebral Palsy) হল একটি মানসিক বা শারীরিক অবস্থান যা মূলত শিশুর জন্মের সময় মস্তিষ্কের উন্নয়নগত সমস্যার কারণে ঘটে। এটি শারীরিক গতিশীলতা, স্নায়বিক কার্যক্রম এবং শরীরের পেশী নিয়ন্ত্রণের উপর প্রভাব ফেলে। সেরিব্রাল পালসি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন স্পাস্টিক, অ্যাট্যাকটিক, ডিস্কিনেট, এবং মিশ্র।
এই অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত হাঁটতে, দৌড়াতে, বা অন্যান্য দৈনন্দিন কার্যকলাপে সমস্যা অনুভব করতে পারেন। চিকিৎসা এবং থেরাপির মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা উন্নত করা সম্ভব। এছাড়া, যথাযথ যত্ন এবং সহায়তা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
সেরিব্রাল পালসি হবার কারণ
- জন্মের সময় আঘাত: গর্ভাবস্থায় বা জন্মের সময় মায়ের প্রয়োগ করা যন্ত্রপাতি বা চাপের কারণে মস্তিষ্কে আঘাত।
- অক্সিজেনের অভাব: গর্ভাবস্থায় বা জন্মের সময় সন্তানের মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পৌঁছালে।
- সংক্রমণ: গর্ভাবস্থায় মায়ের সংক্রমণ (যেমন: রুবেলা বা সিফিলিস) শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে।
- জন্মগত ত্রুটি: মস্তিষ্কের গঠনে জন্মগত ত্রুটি।
- প্রিম্যাচিউর জন্ম: সময়ের আগে জন্মগ্রহণ করা শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
- জেনেটিক কারণ: কিছু ক্ষেত্রে, বংশগত সমস্যা মস্তিষ্কের বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে।

সেরিব্রাল পালসি কিছু লক্ষণ
সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কিছু সাধারণ লক্ষণ লক্ষ্য যায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলি বিভিন্ন ধরনের সেরিব্রাল পালসির ওপর নির্ভর করে। কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো
- শারীরিক গতিশীলতা সমস্যা: হাঁটা, দৌড়ানো বা অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপে অসুবিধা।
- পেশীর শক্তি এবং টোন: কিছু ক্ষেত্রে পেশী খুব শক্ত (স্পাস্টিক) বা খুব শিথিল (ফ্ল্যাক্সিড) হতে পারে।
- সমন্বয় এবং ভারসাম্য: সমন্বয়হীনতা, ভারসাম্যহীনতা এবং হাতের কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা।
- বাক এবং যোগাযোগ: কিছু আক্রান্ত ব্যক্তি কথা বলার বা যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে সমস্যা অনুভব করতে পারেন।
- শিক্ষাগত চ্যালেঞ্জ: মানসিক বা শিখন সংক্রান্ত সমস্যা, যা কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।
- অন্য শারীরিক সমস্যা: যেমন, দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণ সংক্রান্ত সমস্যা, অথবা স্নায়বিক সমস্যা।
- সংবেদনশীলতা: কিছু ব্যক্তি স্পর্শ, শব্দ বা আলোতে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা অনুভব করতে পারেন।