ফিজিওথেরাপি শরীরের প্রাকৃতিক হিলিং-ক্ষমতাকে বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যায়াম, ম্যানুয়াল থেরাপি ও নিরাপদ ইলেক্ট্রোথেরাপির মাধ্যমে কার্যকর করে তোলে । এতে ব্যথা কমে, চলাচল বাড়ে, পেশী-সন্ধির কার্যকারিতা ও স্নায়ুর সমন্বয় উন্নত হয়
ফিজিওথেরাপি কাজ করার ধাপ
-
বিস্তারিত মূল্যায়ন (Assessment)
শারীরিক পরীক্ষা, চলাচলের সীমাবদ্ধতা, পেশী–স্নায়ুর অবস্থা; প্রয়োজনে রিপোর্ট (X-ray/MRI) রিভিউ। -
ব্যথা ও প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ
হট/কোল্ড প্যাক, TENS/IFT, আল্ট্রাসাউন্ড—রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে টিস্যু হিলিং ত্বরান্বিত। -
ম্যানুয়াল থেরাপি
জয়েন্ট মবিলাইজেশন, সফট টিস্যু রিলিজ, স্নায়ু–স্লাইডিং—কঠিনতা ও ব্যথা কমে। -
থেরাপিউটিক ব্যায়াম
শক্তি, ফ্লেক্সিবিলিটি, ব্যালান্স ও এন্ডুরেন্স বাড়াতে ব্যক্তিকৃত এক্সারসাইজ। -
নিউরোমাসকুলার রি-এডুকেশন
স্নায়ু–পেশীর সমন্বয় ফিরিয়ে আনে (স্ট্রোক/নার্ভ-কমপ্রেশন পরবর্তী কেয়ারে গুরুত্বপূর্ণ)। -
ইরগোনোমিক্স ও প্রতিরোধ
ভঙ্গি, লিফটিং টেকনিক, ডেস্ক সেটআপ, হোম এক্সারসাইজ—পুনরায় সমস্যা হওয়া কমে।
নিরাপত্তা ও সতর্কতা
-
প্রশিক্ষিত ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধান জরুরি
-
ডায়াবেটিস/হার্ট/অস্টিওপরোসিস/গর্ভাবস্থা ইত্যাদি থাকলে আগে জানাবেন
-
আকস্মিক তীব্র ব্যথা বা অসাড়তা বাড়লে থেরাপিস্টকে জানান